জাফিরুল ইসলাম, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি : ঘরে খাবার নেই,দুদিন ধরে কচুরিপানা রান্না করে খাওয়ার দুধ পাচ্ছে না কোলের শিশুটি। পাশে খেতে দাও আম্মু খেতে দাও করে কাঁদছে আরেক শিশু। নিরুপায় হয়ে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে সহযোগিতার হাত বাড়াতে গিয়ে সাক্ষাৎতের সুযোগ না পেয়ে গাছের নিছে নিষ্পাপ দুটি শিশুকে নিয়ে বসে আছে মা।
এমন হৃদয় বিদায়ক ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে গত দুদিন ধরে।
ঝিনাইদহে এখনো ক্ষুধার রাজ্যে মানুষ না খেয়ে রাতদিন পার করছে। যা ভাবতেই অবাক লাগে। সত্যি বলতে কি আমাদের দেশে যারা বাস ট্রাকের শ্রমিক তাঁরা অনেক অসহায়। কারণ ছোটছোট যে পরিবহনগুলো সেগুলো নিয়মিত টিপ পাইনা। দুদিন চলে তো দুদিন বন্ধু থাকে।
নিদারুণ বেদনাদায়ক ঘটনাটি ঝিনাইদহ জেলার পাগলা কানাই ইউনিয়নের। ছবির ছেলেটির নাম সাগর। সে বাসের হেলপার। বাবার কোন জমিজায়গা নেই। মায়ের নামে ৩শতক জমি ছিল। এনজিওর কিস্তি পরিশোধ ও নিজের ঔষধ ক্রয়করতে জমিটি বিক্রয় করে দিয়েছেন। এখন যে মাটির ভাঙ্গা বাড়িতে আছেন, সেটিও ছেড়ে দিতে হবে কয়দিন পরে।
সাগরের স্ত্রী আরো দরিদ্র পরিবারের মেয়ে। তার মা থাকেন জেলার হরিণাকুণ্ডু উপজেলার কালাপাড়িয়া আবাসনে। নিজের সংসারই চলে না। তারপরও মেয়ের জন্য মনকাদে তাঁর।
এমন হৃদয় বিদায়ক ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ায় জানার পর জেলার শৈলকূপা উপজেলার কৃতি সন্তান অব: মেজর মাহফুজুর রহমান পরিবারটির পাশে দাড়ান।
তবে মানবাধিকার কর্মী ও সুশীল সমাজ বলছে বর্তমান সরকার এসব সুবিধা বঞ্চিত হতদরিদ্রের জন আবাসন সহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার ব্যাবস্থা করেছেন। কিন্তু স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের স্বজন প্রীতিতে বাদ পড়ছে এসব অসহায় মানুষ। তবে কি দুদিন পর রাস্তায় কাটাতে হবে স্ত্রী সন্তানকে নিয়ে সাগরের।
এব্যাপারে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক এস.এম. রফিকুল ইসলাম মুঠোফোনে জানান, সদরের ইউএনওকে সহযোগিতা করতে বলবো।
Leave a Reply